কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি রৌমারীতে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ নেই

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ফলে এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নানা ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
 উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছে, উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪টি। এর মধ্যে ৩০ বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। বাকি ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে এসব বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের অফিস সহকারি আবুল হাসেম বলেন, ২০১৩ সাল থেকে প্রথম ধাপে ৩টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৭টিসহ ১০টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিদ্যালয়ে সরবরাহ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বিদ্যালয়ে এ প্রজেক্টর দেওয়া হবে। যেসব বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ নেই, তারাও এ সুবিধা পাবে।
 বালুর গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল আলিম বলেন, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে উপজেলা থেকে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর পাঠানো হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় এগুলো চালানো সম্ভব হয়নি। তাই মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর আবার ফেরত নেয় মন্ত্রণালয়। ফলে বিদ্যুৎ না থাকায় এখানকার ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রী শিক্ষার্থী ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাই অতি জরুরি ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান তিনি।
 বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইদুল ও জয়নব জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় গরমকালে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয়। এবছরে শীত ও কুয়াশার কারণে কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এতে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় ক্লাস করা যায়নি।
 ঝগড়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা পারভীন বলেন, ‘বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটির স্থাপন করেছে। খুঁটি পেয়েছি এবং সেই সঙ্গে ওয়ারিং করার জন্য আমাদের বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে আবেদন মাধ্যমে সদস্য অন্তভুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। বিদ্যুৎ না থাকায় বিদ্যালয়ের ২৪৫ ছাত্রছাত্রী ভোগান্তি পোহাচ্ছে।’



এ প্রসঙ্গে রৌমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যুৎবিহীন বিদ্যালয়ের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা শিক্ষা কার্যালয়ের মাধ্যমে এসব বিদ্যালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।

Comments

Popular posts from this blog

পদোন্নতি পাচ্ছেন ১৭০ সহকারী শিক্ষক

রোবট সোফিয়ার পেছনে বাংলাদেশ খরচ করছে ১২ কোটি টাকা?