জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে টরন্টোয় সমাবেশ

প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশপ্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশজনপ্রিয় লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর জঙ্গি হামলা ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কানাডা শাখা আহুত প্রতিবাদ সমাবেশ। গত রোববার (৪ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকেই টরন্টোর বাঙালি পাড়ার ঘরোয়া রেস্টুরেন্ট চত্বর পূর্ণ হয়ে ওঠে ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন মানুষের ভিড়ে। অনেকেই তাঁদের শিশু-কিশোর সন্তানদের নিয়েও সমাবেশে যোগ দেন।
সমাবেশে উদীচীর কানাডা শাখার সকল কর্মী-সমর্থক-উপদেষ্টারা ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও মিডিয়া কর্মী যোগদান করেন। তাঁদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন সাহা, কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য আজিজুল মালিক, টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সভাপতি এনায়েত করিম, থিয়েটার ফোকসের আহ্বায়ক নয়ন হাফিজ, প্রাক্তন ডাকসু সহসাধারণ সম্পাদক নাসির উদ দুজা, পিডিআই-এর যুগ্মআহ্বায়ক বিদ্যুৎ রঞ্জন দে, সমন্বয়ক মাহাবুব আলম, মুক্তিযোদ্ধা মো. মাসুক মিয়া, প্রাক্তন বাকসু ভিপি ফায়েজুল করিম, কবি তুষার গায়েন ও দেলওয়ার এলাহী, টরন্টো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্দোলন স্মৃতিসৌধের রেজওয়ান রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা সমিতির হিমাদ্রি রায় সঞ্জিব, সাংস্কৃতিককর্মী ফারজানা চৌধুরী বিন্দু ও শায়লা আহমেদ লোপা প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশপ্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশসংক্ষিপ্ত এই পর্ব পরিচালনায় ছিলেন সোলায়মান তালুত।
উল্লেখযোগ্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠক ম্যাক আজাদ, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা কানাডার সভাপতি শাহজাহান কামাল, ব্যবসায়ী ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব শংকর দে, উদীচীর উপদেষ্টা রানা দেবরায়, সাংস্কৃতিক কর্মী ও আবৃত্তিকার মেরী রাশেদীন, সাংবাদিক বিদ্যুৎ সরকার, কবি খুরশীদ শাম্মী, কৃষিবিদ আবুল বাশার, প্রকৌশলী নিতাই দেবনাথ, রেজাউল ইসলাম, রেখা হাবিবুল্লাহ, বিজয় রায় ও চঞ্চল সাহা প্রমুখ।
সবশেষে উদীচী কানাডার সভাপতি সৈয়দ আজফার ফেরদৌস সকলকে এই তাৎক্ষণিক সমাবেশ সফল করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশপ্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশতীব্র শীতের প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদানকারী বক্তারা তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মত প্রকাশ করেন, মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। অতীতে নিহত মুক্তবুদ্ধি চর্চাকারী লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের বিচার না হওয়ার কারণেই দেশে মৌলবাদী অপশক্তির তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রতিহত করার জন্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করা প্রয়োজন।
উদীচী কানাডার পক্ষ থেকে জাতির দুঃসময়ে মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও অন্যান্য জাতীয় ইস্যুতে কানাডায় ভবিষ্যতেও সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

Comments

Popular posts from this blog

পদোন্নতি পাচ্ছেন ১৭০ সহকারী শিক্ষক

রোবট সোফিয়ার পেছনে বাংলাদেশ খরচ করছে ১২ কোটি টাকা?